করোনা–পরিস্থিতির কারণে সংকটে থাকা নিজ এলাকার ১০০ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছেন সিডি ব্যবসায়ী থেকে চলচ্চিত্র নায়ক বনে যাওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার সকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই তিনি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া, বানদীঘি ও হাজিপাড়া গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব উপহার তুলে দেন।
ঈদ উপহারের প্যাকেটে ছিল এক কেজি লাচ্ছা সেমাই, এক কেজি চিনি, এক কেজি আতপ চাল ও ১০০ গ্রাম ওজনের একটি গুঁড়া দুধের প্যাকেট।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর দিকে হিরো আলম বগুড়া সদর, শেরপুর, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভ্যানে করে কর্মহীন শ্রমজীবী পাঁচ শতাধিক পরিবারে ব্যাগভর্তি খাবার পৌঁছে দেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল পাঁচ কেজি চাল, আটা, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও লবণ।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে হিরো আলম প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদটা খুব কষ্ট নিয়ে কড়া নাড়ছে। কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষ বেকার।
উপার্জন বন্ধ। করোনার সংক্রমণের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। ঈদের দিন এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা থেকেই সেমাই, চিনি, চালসহ খাদ্যসামগ্রী তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।
এমন দুর্যোগে ঈদের দিন এক বেলা ভালো খাবার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের মুখে যদি সামান্য হাসি ফোটে, তাহলেই তাঁর চেষ্টা সার্থক হবে।
হিরো আলম বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসাতেই আজ আমি জিরো থেকে হিরো আলম। মানুষ না চাইলে আবার জিরো। করোনায় সংকটে থাকা ৫০০ পরিবারের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি।
সামর্থ্য অনুযায়ী আজ ১০০ পরিবারকে ঈদ উপহার পৌঁছে দিলাম। সবকিছুই করছি আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসার ঋণ শোধ করতে।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘গত বছর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলাম। মানুষকে কথা দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যা–ই হোক না কেন, আমি মানুষের পাশে থাকব।
এ কারণে করোনা সংকটে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তারও আগে এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরেছিলাম। তখনো মানুষকে কথা দিয়েছিলাম, হার–জিত কোনো বিষয় নয়, মানুষের পাশে থাকব। সামর্থ্য যত দিন থাকবে, তত দিন মানুষের পাশে থাকতে চাই।’