লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাজান আলী তাঁর অফিসের চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছিলেন। আর তাঁর টেবিলের সামনে ঘুম ভাঙার অপেক্ষায় বসে ছিল কয়েকজন সেবাপ্রার্থী।
কিন্তু কিছুতেই তাঁর ঘুম না ভাঙায় বিড়ম্বনায় পড়ে সেবাগ্রহীতারা। পরে অফিসের পিয়ন আবুল হোসেনকে ডেকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দিয়ে বলেন, ‘স্যার ঘুমাচ্ছেন। এখন তাঁকে ডাকা যাবে না।’
গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই কর্মকর্তার ঘুমিয়ে পড়ার কয়েকটি ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলার পাটিকাপাড়া এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা আব্দার রহমান বলেন, তাঁর প্রয়াত মামা ইমরান হোসেন সরকারি চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর পেনশনের বই হারিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার তাঁর মামি মোর্শেদা বেগমকে নিয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
কিন্তু অফিসে ঢুকেই দেখেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাজান আলী তাঁর চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন। বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর অফিসের একজন পিয়নকে ডেকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, ‘আমি গিয়ে দেখি, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ঘুমাচ্ছেন।’
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাজান আলী বলেন, ‘আমার শরীর ভালো আছে। আমি অফিসে বসে ঘুমাইনি।’