শুধু মাথাপিছু আয় নয় সামনে কোন দুর্যোগ না হলে ভারতীয় রুপিকেও পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে সামাজিক অনেক সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফ এর বৈশ্বিক প্রতিবেদনে যেমন আত্মতুষ্টি আছে তেমনি অর্থনীতির ভিত আরো মজবুত করতে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা আছে সরকারের। এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ড. শামসুল আলমের। আর করোনার ঘোর কাটিয়ে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সামনের দিনগুলোতে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন, বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি অপচয় রোধ করার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের ভারত। আর ১৬ কোটির বাংলাদেশের অবস্থান ৪৩তম। প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ২৮০ বিলিয়নের বাংলাদেশ। আকারের এমন পরিসংখ্যানে মনে হতে পারে হাতির সঙ্গে কচ্ছপের তুলনা।
তুলনাটা অর্থনীতির উন্নয়ন আর টেকসই সমৃদ্ধির। করোনার থাবায় যখন গোটা বিশ্ব নাস্তানাবুদ তখন ঝুঁকি নিয়েই মাথা উঁচু করে লড়ছে বাংলাদেশ। ফলাফল আইএমএফ এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চলতি বছরে মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ১১ ডলার পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ। মাত্র ২৬টি দেশ ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে, তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা অবশ্যই তৃপ্ত। কিন্তু তৃপ্ততার সাথেও আমরা সতর্ক আছি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে। প্রত্যেকটি খাতে প্রত্যেকটি শিল্পে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে সুকৌশল আছে। আর কোন দুর্যোগ যদি না আসে তাহলে আশা করছি আমাদের টাকার মান ভারতের চেয়ে বেড়ে যাবে।’
করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখার পাশাপাশি সঠিক সময়ে বিভিন্ন খাতের জন্য দেয়া হয়েছে প্রণোদনা। তবে, ইতিবাচক অর্জনে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে রফতানি বহুমুখীকরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা সত্য। কিন্তু সেভাবে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাচ্ছে না। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের এই জায়গাগুলোকে আগামীদিনের জন্য ঠিক করা দরকার। একইসাথে দেখা দরকার যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যে বৈচিত্রায়ন সে জায়গায় উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা করা।’
শিশুমৃত্যু, মাতৃ মৃত্যুর হার, গড় আয়ু, স্যানিটাইজেশন, ক্ষুধা সূচক, নিরাপদ পানির ব্যবহার, নারীদের অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলোতে ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।