শাহজাদপুরের জামিরতার জগতলা দিয়ে পাচারের সময় দরিদ্রদের জন্য সরকারী বরাদ্দের ১০ টাকা কেজি মূল্যের ৩৭ বস্তা চাল আটক করে জনতা। পরে অনুসন্ধানে একটি গোডাউন থেকে আরো ৩ বস্তা সরকারি ১০ টাকা মূল্যর চাউল ও ৩৬টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৫নভেম্বর) বিকাল সারে ৪টায় শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতার জগতলা নতুন বাজার এলাকা দিয়ে ৪টি অটোরিক্সা যোগে ৩৭ বস্তা সরকারি ১০ টাকা কেজির ন্যায্যমূল্যের চাল পাচারের সময় অটোরিক্সা সহ ৪ চালককে আটক করে জনতা। পরে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামছুজ্জোহাকে বিষয়টি জানায়।
সন্ধায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদ হোসেন ও শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আসাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সরেজমিনে গিয়ে অটো চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ কেরলে তারা জানায়, উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের চর-কৈজুরী গ্রামের গ্রাম পুলিশ মোঃ রমজান প্রামানিকে ছেলে আব্দুল মতিন (৪২) কৈজুরী বাজার সংলগ্ন নজরুলের বাড়ি থেকে চাউলের বস্তাগুলো তাদের অটো গাড়িতে তুলে দিয়েছে। চাউলগুলো ভেড়াকোলা গ্রামের সরকারী চাউলের ডিলার আমীনের কাছে যাওয়ার কথা ছিলো। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদ হোসেনের নির্দেশে ৪ অটো চালককে আটক ও চাউলগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটককৃত অটো চালকেরা হলো- শাহজাদপুর উপজেলার ভেড়াকোলা গ্রামের মোঃ মোস্তফা প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মতিউর (৩০), একই গ্রামের মোঃ লতিফ প্রামাণিকের ছেলে মুসা প্রামাণিক (১৫), ৩। পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার চর-পেচাকোলা গ্রামের মোঃ জাকের মোল্লার ছেলে শওকাত আলী (১৪) ও ৪। একই গ্রামের সাইদ আলী (৪০)।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মাসুদ হোসেন ও শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খানকে জানানো হয়। পরে বুধবার আনুমানিক রাত ৯টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদ হোসেন ও শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সহকারী কমিশনারারের উপস্থিতিতে পুলিশ মতিনের গোডাউনের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় ৩ বস্তা সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাউল ও ৩৬টি সরকারি চাউলের খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়।
সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মাসুদ হোসেন জানান, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল কালোবাজারির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় গ্রাম পুলিশ রমজান ও তার ছেলে মতিন উভয়ের নামেই মামলা হবে।