ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বাড়াল রাজ্য সরকার। তাঁদের গ্রেড পে ২৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬০০ টাকা করা হল।
কিন্তু সর্বভারতীয় হারে বেতন এবং অন্যান্য দাবিতে যে-সব শিক্ষক-শিক্ষিকা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা আন্দোলনে অনড়।
নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির এক অনুষ্ঠানে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘‘২৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩২০০ টাকা গ্রেড পে করার অনুমোদন আগেই মিলেছিল। পরে গ্রেড পে ৩৬০০ টাকা করার সুপারিশ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়।
সেই বিষয়েও অনুমোদন মিলেছে।’’ এত দিন প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতায় যোগ দিলে শুরুতেই সব মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যেত। তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্রের হিসেব, বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৬০০ টাকা গ্রেড পে হলে শুরুতেই এক জন প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন হবে প্রায় ২৯ হাজার টাকা।
অর্থাৎ এক লাফে বৃদ্ধি প্রায় আট হাজার। নতুন সিদ্ধান্তে প্রায় এক লক্ষ ৮৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা উপকৃত হবেন।
শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, শিক্ষকেরা বেতন বাড়ানোর দাবি করছেন, বদলির দাবি জানাচ্ছেন। পড়াশোনার পরিকাঠামো ভাল করার দাবি করছেন না কেন? ‘‘শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
ক্লাস না-করে আন্দোলন-বিক্ষোভ বরদাস্ত করা হবে না। দেখতে হবে, দাবি আদায় করতে গিয়ে যেন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার কোনও ক্ষতি না-হয়। প্রাথমিকের পড়ুয়ারা যাতে অন্য স্কুলে চলে না-যায়, সেটা দেখতে হবে। প্রয়োজনে রবিবার বা ছুটির দিনেও স্পেশ্যাল ক্লাস নিতে হবে,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।