দুধকে বলা হয় আর্দশ খাবার। সব বয়সী মানুষ দুধ খেতে পছন্দ করেন। অন্য খাবারের সঙ্গে দুধ যেমন শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে তেমনি শক্তি যোগায়।বাজার থেকে তরল দুধ কিনে খান অনেকে।
সম্প্রতি দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাতেও বাজারে প্রাণমিল্কসহ ৫ কোম্পানির সাতটি পাস্তুরিত দুধে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক। অপাস্তুরিত তিন দুধেও প্রায় একই ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে।
প্রাণমিল্ক, মিল্কভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ইগলু, ইগলু চকোলেট এবং ইগলু ম্যাংগো এ ৫ কোম্পানির সাত পাস্তুরিত এবং রাজধানীর পলাশী, গাবতলী ও মোহাম্মদপুর এ তিন বাজার থেকে অপাস্তুরিত দুধের তিনটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত সপ্তাহে দ্বিতীয় বারের মতো এ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এসব দুধ খেলে ভয়াবহ শরীরিক ক্ষতির কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। তাই খাঁটি দুধ চেনা জরুরি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ খাঁটি দুধ চিনতে পারেন না।
আসুন জেনে নেই খাঁটি দুধ চেনার উপায়।
১. একটু দুধ মাটিতে ঢালার পর যদি গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। ভেজাল হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।
২. দুধ গরম করতে গেলেই কি হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? তা হলে এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মেশানো হয়েছে কার্বোহাইড্রেট।
৩. বাড়িতেই করে ফেলুন স্টার্চ টেস্ট। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ লবণ মেশান। যদি লবণের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
৪. দুধে ফরমালিন রয়েছে কীনা তা বুঝতে এর মধ্যে একটু সালফিউরিক এসিড মেশান। যদি নীল রং হয়, তবে ফরমালিন আছে।
৫. এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছুক্ষণ রেখে এতে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমাস নীল হয় তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে সেই দুধে।
৬. দুধের সমান পানি মেশান একটি শিশিতে। এবার শিশির মুখ বন্ধ করে জোরে ঝাঁকান। অস্বাভাবিক ফেনা হলেই বুঝবেন, দুধে মেশানো আছে ডিটারজেন্ট।
এখন প্রাণমিল্কসহ ৫ কোম্পানির সাতটি পাস্তুরিত দুধে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।তাই দুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।