দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এখনো কোনো ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে পঞ্চগড়ের বাসিন্দাদের কেউ কেউ পঞ্চগড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে চারদিকে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়লেও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্তকরণের কোনো যন্ত্র নেই।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলা শহরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঞ্চগড়ের কেউ কেউ নিজ এলাকায় ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত এমন দুজন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। দুজনই ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ যন্ত্র এনএস ১ ডিভাইস নেই। এমনকি প্যাথলোজিস্ট না থাকায় রক্তের প্ল্যাটিলেট পরীক্ষাও হচ্ছে না সরকারি হাসপাতালগুলোতে। এ ছাড়া এখনো পঞ্চগড়ের পৌর এলাকাগুলোতে মশক নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের এখানে যারা ডেঙ্গু রোগে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। আমি খোঁজ নিয়েছি তারা এখন অনেকটা ভালো আছেন।
পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আফরোজা বেগম রীনা বলেন, হাসপাতালে যে সকল ডেঙ্গু শনাক্তকারী যন্ত্র ছিল তা মেয়াদ উত্তীর্ণ। ডেঙ্গু জ্বর সনাক্তকারী এনএস ১ ডিভাইস ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি দ্রুত তা পেয়ে যাব। তবে ডিভাইস সংকট থাকায় গণহারে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না। কেবলমাত্র চিকিৎসকরা যাদের পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেবেন তাদেরকেই পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া প্যাথলোজিস্ট না থাকায় রক্তের প্ল্যাটিলেট হাসপাতালে হয় না। তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পরীক্ষা করা যায়। এ ছাড়া আমরা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান শুরু করেছি। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।
পঞ্চগড় পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী কোচগুলোতে মশক নিধন স্প্রে করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পৌর এলাকায় মশক নিধনের জন্য উন্নতমানের ওষধ কেনার জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ওষুধ পেলেই আশা করি আগামী শুক্রবার থেকে আমরা পৌরসভার জলাশয়, ড্রেন, ময়লা আবর্জনাসহ বিভিন্ন স্থানে তা স্প্রে শুরু করতে পারবো।