এক সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন সেরা ফুটবলারের পুরস্কার।
আর এখন মাত্র ৩ হাজার টাকার দিনমজুর। জীবন এভাবেই তার নির্মমতা দেখিয়েছে তরুণ শিহাব উদ্দিনের প্রতি।
ক্ষুদে এই শিহাব উদ্দিন পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধূলাউড়ি ইউনিয়নের আলোকদিয়ার গ্রামের কোরবান মোল্লার ছেলে। তিনভাই বোনের মাঝে সবার বড় শিহাব।
গত ২০১৭ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবলে পুরো বাংলাদেশের সেরা ফুটবলার হয় শিহাব উদ্দিন।
কিন্তু, দারিদ্রতা আর অবহেলায় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ফিকে করে দিয়েছে ১৫ বছর বয়সী এই কিশোরের।
এ ব্যাপারে শিহাব বলেন, ধূলাউড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম। রাজশাহী বিভাগের ক্যাপ্টেন ছিলাম।
সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি দেন।
এদিকে ফুটবলার হবার স্বপ্ন বোনা শিহাবের সামনে এখন শুধুই মরীচিকা। দুঃখের দহনে তিলে তিলে মকুলেই ঝড়ে যাচ্ছে ১৫ বছরের শিহাবের স্বপ্ন। ঢাকায় এখন দিনমজুরের কাজ করেন শিহাব।
শিহাব বলেন, মাত্র ৩ হাজার টাকায় লেবারের কাজ করি ঢাকায়।
এটা খুব খারাপ লাগে যে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নিয়েও। আজ আর ফুটবল খেলতে পারি না।
এদিকে তিন ভাইবোনের মাঝে সবার বড় শিহাবের কাঁধে সংসারের ভার। সেই ভারে শিহাবের তলিয়ে যাওয়া মানতে পারছেন না দরিদ্র বাবা আর শিক্ষক।
শিহাবের ফুটবল গুরু রাজু আহমেদ জানান, বিকেএসপিতে ৬টা ইভেন্টের মধ্যে সে ৫টিতে প্রথম ও একটিতে দ্বিতীয় হয়েছে। তবু সেখানে তার জায়গা হয়নি।
বাবা কোরবান মোল্লার আশা, প্রধানমন্ত্রী আমার ছেলেটাকে দেখবেন। বড় খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলবেন।
তবে বাস্তবতার অথৈ সাগরে হাবাডুবু খাওয়া ক্ষুদে ফুটবলার এখনও স্বপ্ন দেখেন তীরে ওঠার। প্রয়োজন শুধু একটু সুযোগের।
পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে ফুটবলে অবহেলিত এমন অনেক প্রতিভা। শিহাব যাদের প্রতিচ্ছতি মাত্র। অথচ, প্রায়ই শোনা যায় প্রতিভাবান ফুটবলার সংকটের কথা।