চীনে ছড়িয়ে পড়া নোবেল করোনাভাইরাস বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) চারটি হটলাইন চালু করেছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে জানতে নিম্নোক্ত হটলাইনগুলোতে ফোন করা যাবে। হটলাইন নাম্বারগুলো হচ্ছে: ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ ও ০১৯২৭৭১১৭৮৫। চীনসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে নোবেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। তারই ধারাবহিকতায় আইইডিসিআর এ চারটি হটলাইন চালু করলো।
উল্লেখ্য, নতুন রোগ ‘নোবেল করোনাভাইরাস’ এর ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১০ জানুয়ারি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য নতুন এ রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে অন্তর্বর্তীকালীন গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে।
গাইডলাইনে কীভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে, নমুনা পরীক্ষা করা, রোগীর চিকিৎসা, স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহে সংক্রমণ প্রতিরোধ, চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা ও নতুন এ ভাইরাসটি সম্পর্কে জনসচেতনতার ওপর গুরত্বারোপ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীন থেকে সরাসরি ফ্লাইটে আসা যাত্রীদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।
এদিকে, বাংলাদেশে যাতে করোনাভাইরাস আসতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন। পরে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের নিয়ে আলাদাভাবে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আব্দুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে করোনাভাইরাসের বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশের সব ধরনের সুযোগ বন্ধ করতে হবে। চীন থেকে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে তাদেরকে টানা ১৪ দিন বিশেষ ব্যবস্থায় তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। এরইমধ্যে ৩১৬ জনকে বিমানের মাধ্যমে চীন থেকে আনা হয়েছে। তাদেরকে ১৪ দিন তত্ত্বাবধানে রেখে সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখনো চীনে ১৭১ জন ছাত্রের একটা গ্রুপ রয়েছে, যাদেরকে আনার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। চীনের কোন বিমানের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে আনার পরিকল্পনা চলছে। এই ভাইরাস আক্রান্ত অন্য দেশ থেকে যারা বাংলাদেশে আসছে তাদেরকে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন বড়-বড় প্রকল্পে চীনের যেসব নাগরিক কর্মরত আছে তাদের মধ্যে যারা গত ১৮ তারিখের পরে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাদেরকে আমরা বিশেষ তদারকি করছি।