ইভ্যালি, দারাজ-এর মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ডেসটিনির মতো মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা করতে পারবে না।
পণ্য বা সেবা বিক্রয় বা প্রসারের জন্য কোনো ধরনের লটারি বা এ জাতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। এমন কি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতীত কোনো ভার্চুয়াল ওয়ালেটও তৈরি করতে পারবে না।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এসব বিষয় সংযুক্ত করে একটি নির্দেশিকার খসড়া চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গতকাল এ খসড়াটি চূড়ান্ত করতে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় মতামতের জন্য নির্দেশিকাটির খসড়া পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বিকালে টেলিফোনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান (ডাব্লিওটিও সেল) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মতামতের জন্য যে খসড়াটি সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছিল, কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সেটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন নির্দেশিকাটি অনুমোদনের পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
খসড়া নির্দেশিকায় পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে বলা হয়েছে, ক্রেতা এক শহরে থাকলে সর্বোচ্চ ৫ দিন এবং ভিন্ন শহরে থাকলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে।
আর বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই পণ্য ডেলিভারিম্যানের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। একই সঙ্গে ক্রেতাকে সেটি টেলিফোন, ইমেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ডেলিভারির সময় আরও সংক্ষিপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে গৃহীত ক্রয়াদেশে একাধিক পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা ডেলিভারি চার্জ আরোপ করা যাবে না।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পণ্য বিক্রির জন্য কোনো ধরনের অফার, ডিসকাউন্ট, ফ্রি ডেলিভারি বা অন্য কোনো সুবিধা থাকলে তা পরিষ্কারভাবে পণ্যের বর্ণনায় থাকতে হবে।
বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্য বিক্রেতার নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে এবং কী পরিমাণ পণ্য স্টকে আছে তা উল্লেখ করতে হবে। কোনো ধরনের নকল বা ভেজাল পণ্য প্রদর্শন বা বিক্রয় করা যাবে না।
পণ্য বা সেবার বিষয়ে অভিযোগের জন্য মার্কেট প্লেস, অ্যাপ বা প্ল্যাটফরমে ফোন নম্বর, ইমেইল বা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম সঠিকভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। পণ্যের ব্যাপারে রেটিং এবং মতামত জানানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।