গত অগাস্ট মাসে পরীক্ষামূলকভাবে সপ্তাহে তিন দিন করে ছুটি চালু করা হয়েছিল। শনি আর রোববারের সঙ্গে শুক্রবারও সংস্থার প্রায় ২,৩০০ কর্মীকে ছুটি দেয়া হয়েছিল। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে হয়তো মুখ থুবড়ে পড়তে পারে সংস্থার উৎপাদন ব্যবস্থা।
কিন্তু এক মাস পর অপ্রত্যাশিত ফল মিলল! দেখা গেল, উৎপাদন বেড়ে গেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। একই সঙ্গে বিভিন্ন খাতে খরচ কমে সংস্থার সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
কর্মীদের সপ্তাহে তিন দিন করে ছুটি দেয়ার এই অভিনব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জাপানের মাইক্রোসফটে। জানা গেছে, অগাস্ট মাসে কর্মসংস্কার প্রকল্পের অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে এক মাসের জন্য সপ্তাহে তিন দিন করে ছুটি চালু করা হয়েছিল। এই কর্মসংস্কার প্রকল্পের নাম দেয়া হয় ‘ওয়ার্ক-লাইফ চয়েস চ্যালেঞ্জ সামার-২০১৯’।
শুরুতে এই প্রকল্প নিয়ে সংস্থার অনেকের মধ্যেই সংশয় ছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে হয়তো মুখ থুবড়ে পড়তে পারে সংস্থার উৎপাদন ব্যবস্থা। কিন্তু এক মাস পর হিসাব করে দেখা গেল, কর্মীদের সপ্তাহে তিন দিন করে ছুটি দেয়া সত্ত্বেও সংস্থার উত্পাদন বেড়েছে ৩৯.৯ শতাংশ।
শুধু তাই নয়, এই সময় কর্মীদের অতিরিক্ত ছুটি নেয়ার কমে গেছে প্রায় ২৫.৪ শতাংশ। দেখা গেছে, এই এক মাসে সংস্থার বিদ্যুতের খরচও কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
জানা গেছে, এই এক মাসে কর্মীদের তিন দিন ছুটি দেয়া ছাড়াও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে একাধিক মিটিং। ভিডিও কনফারেন্সে সারা হয়েছে বেশ কয়েকটি জরুরি মিটিং। ‘ওয়ার্ক-লাইফ চয়েস চ্যালেঞ্জ সামার-২০১৯’ প্রকল্পের এই অভূতপূর্ব সাফল্যের পর আগামী বছরেও এই কর্মসূচি পালনের কথা ভাবছে মাইক্রোসফট জাপান।
তবে সংস্থার এই কর্মসূচির সঙ্গে একমত নয় বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক বা বহুজাতিক সংস্থা। অনেকেরই মত, যে সব প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে সাত দিনই চালু রাখতে হয়, সেখানে কর্মীদের সপ্তাহে তিন দিন ছুটি দেয়া প্রায় অসম্ভব।